প্রতিনিধি, গাজীপুর: ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে নিহত বরিশালের জ্যেষ্ঠ এএসপি মো. আনিসুল করিমের মরদেহ গাজীপুর সিটি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বজনরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়া, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারাসহ রাজনৈতিক নেতা এবং সর্বস্তরের মানুষ নিহত পুলিশ কর্মকর্তার জানাজায় অংশ নেন। পরে তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত আনিসুল করিমের বড় ভাই রেজাউল করিম জানান, চার ভাইবোনের মধ্যে আনিসুল করিম সবার ছোট। বাবা ফাইজুদ্দিন আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা। তাদের গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার সম্মানিয়া ইউনিয়নের আড়াল গ্রামে। তারা সিটি করপোরেশনের বরুদা এলাকায় প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন।
আনিসুল করিমের পড়ালেখা করেছেন জেলা শহরের রানী বিলাসমনি সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়, কাজী আজিম উদ্দীন কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ৩১তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। আনিসুল করিম এক ছেলে সন্তানের জনক। তার মৃত্যুর শোকে তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা কিছুক্ষণ পর পরই মুর্ছা যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য তিনি ও তার বোন গত সোমবার সকালে রাজধানীর আদাবর এলাকার মাইন্ডএইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নাম লেখানোর সময় কয়েকজন কর্মচারী তাকে টেনেহিঁচড়ে দোতলার একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।