ভিয়েতনামে আসিয়ানের ৩৭তম সম্মেলন শুরু

গুরুত্ব পাচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্যতার ইস্যু

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির মধ্যে গতকাল শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ নভেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘আসিয়ানের ৩৭তম শীর্ষ সম্মেলন-২০২০’। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে গতকাল ১০ জাতির এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুগেইন জুয়ান ফুক। করোনার কারণে এবারের আসিয়ান সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমেও বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিবেন। খবর: রয়টার্স।

সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেয়াপারসনের বক্তব্যে নুগেইন জুয়ান ফুক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ জাতির বৃহত্তম এ জোটটি প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর প্রায় ৭৫ বছর অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত টেকসই ‘বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তা’ প্রতিষ্ঠায় উন্নত দেশগুলো ব্যর্থ।

ভার্চুয়াল ওই সম্মেলনে তিনি এই অঞ্চলের জলীয় সীমায় বিশেষত চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার নিজেদের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সম্মেলনের আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) হওয়া উচিত দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা নিয়ে। যেখানে বেইজিংয়ের এই বিতর্কিত নৌপথ দাবির ফলে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। চীন ভিয়েতনামের ৮০ শতাংশ সমুদ্রসীমা দাবি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আয়িয়ানের অন্য দেশ ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং পিলিপাইনসের মধ্যে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আমাদের এখন সময় এসেছে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব বিতর্কের মীমাংসা করা।

এদিকে, সম্মেলনে ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে করোনা মহামারিকে ‘আমাদের প্রজšে§র জন্য চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে বলেন, ধনী গরিব সবার জন্য ‘নিরাপদ ভ্যাকসিন’ নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সব জাতির এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। জানা যায়, সম্মেলনের শেষ দিন আগামী রোববার চীনকেন্দ্রিক ‘রিজনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নামে একটি বড় অর্থনৈতিক জোট গঠনের আশা প্রকাশ করবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরবর্তী এ চুক্তি এই অঞ্চলের (দক্ষিণ এশিয়া) অর্থনীতির জন্য চীনের অবস্থান আরও মজবুত হবে। যেখানে জাপান ও কোরিয়া বাণিজ্যমুখী হবে। 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়া) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা, যা ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড এ পাঁচটি দেশ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 তারপর থেকে ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম সদস্যপদ লাভ করে। এর লক্ষ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি, সাংস্কৃতিক বিবর্তন তার সদস্যদের মধ্যে ত্বরান্বিত করা, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা, এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০