শেয়ার বিজ ডিস্ক : হংকংয়ের ওপর চীন যতই চাপ বাড়াচ্ছে, ততই সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার কানাডাও জানিয়ে দিয়েছে হাইস্কুলের পাঠ শেষ করেই কানাডায় চলে যেতে পারে হংকংয়ের ছেলেমেয়েরা। সেখানে তাদের চাকরির সুযোগ যেমন থাকবে, থাকবে আরও পড়াশোনা করার ব্যবস্থাও। খবর: রয়টার্স।
হংকং নিয়ে চীনের নীতিকে পছন্দ করছে না বহু দেশ। এর আগে প্রকাশ্যেই এর নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হংকং নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলায়নি বেইজিং। বরং হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর চাপ আরও বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার আইনসভার চার গণতন্ত্রপন্থি সদস্যকে বিনা নোটিসে বরখাস্ত করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতে যাওয়ার সুযোগটুকুও তারা পাননি। এরই প্রতিবাদে হংকংয়ের সব গণতন্ত্রপন্থি আইনসভার সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগপত্র পেশ করেন। তারা জানিয়ে দেন, আইনসভায় আর তারা থাকবেন না। রাস্তায় নেমে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের এ আচরণের নিন্দা করেছে। বেইজিংয়ের বক্তব্য, এভাবে দেশের আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বেইজিংয়ের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য। এক সময় হংকং ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। কয়েক দশক আগে তা চীনের হাতে চুক্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে হংকংয়ের অধিকারের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য ছিল। যুক্তরাজ্যের দাবি, চীন সেই চুক্তি মানছে না। যেভাবে হংকংয়ে বেজিং নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে, তা চুক্তির বিরোধী। গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সেখানে যে আচরণ করা হচ্ছে, তারও নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্য।
কানাডা অবশ্য মুখে কোনো নিন্দা করেনি। তারা সরাসরি হংকংয়ের ছাত্রদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে নিজের দেশের। এর ফলে কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কানাডার শরণার্থীবিষয়কমন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো টুইট করে তার প্রস্তাব সবাইকে জানিয়েছেন।
হংকংয়ের জন্য কানাডার এ প্রস্তাব স্বাভাবিকভাবেই চীন ভালো চোখে দেখবে না। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে চীনের সঙ্গে কানাডার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হংকং এবং তাইওয়ান প্রসঙ্গে আগেও কানাডা বিরূপ মন্তব্য করেছে। তবে বৃহস্পতিবারের ঘোষণা অন্য মাত্রা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
