নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের। আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয় চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের আলোচিত সময়ে ছিল তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় এবারের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বৃদ্ধি পায় এক কোটি এক লাখ টাকা বা প্রায় ৩০ শতাংশ।
জানা গেছে, সাম্পতিক সময়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন। মুনাফা বৃদ্ধির বিষয়ে কোম্পানি আশা করছে, বর্তমানে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তরলীকৃত অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে। মূলত করোনা মহামারিতে আবশ্যকীয় উপাদানে পরিণত হয়েছে অক্সিজেন। এজন্য উৎপাদন ও বিপণনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে আর্থিক প্রতিবেদনে।
জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের মোট টার্নওভার ছিল ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে কোম্পানির পণ্য বিক্রয় খাতে ব্যয় ছিল চার কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং পরিচলনা ব্যয় ছিল এক কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির পরিচলন মুনাফা হয়েছে ছয় কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর নিট মুনাফা হয়েছে চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
এ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের আলোচিত সময়ে ছিল ৪২ পয়সা।
এ বিষয়ে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে কোম্পানির সক্ষমতার পুরোটাই উৎপাদন হচ্ছে। ফলে আমাদের বিক্রয় রাজস্ব বেড়েছে। এতে বছর শেষে আমাদের নিট মুনাফাও বাড়াবে বলেই মনে করছি।’
অন্যদিকে গত ৪ নভেম্বর কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৮৭ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৫ পয়সা।
সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে দুই শতাংশ নগদ ও আট শতাংশ বোনাস।
উল্লেখ, ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৫ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট সাড়ে ৯ কোটি শেয়ার আছে।
এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ২৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৭ শতাংশ ও ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।