১৭,৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ১৫ লাখ টাকা জাইকার অর্থায়নের পাশাপাশি জিওবি’র মাধ্যমে দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যয় করবে দুই হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

গতকাল বন্দর ভবন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ। এর আগে বন্দর ভবনে মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জাপানি কনসালটেন্ট নিপ্পন কোয়েইর সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘কনসালটেন্টের সঙ্গে ২৩ সেপ্টেম্বর চুক্তি সই হয়। আজ (গতকাল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সময়ের দাবি ছিল। এ বন্দরের ফলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক বেল্ট গড়ে উঠছে, তা বেগবান হবে। প্রধানমন্ত্রী যে রোলমডেল করেছেন, তার সঙ্গে সংগতি রেখে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। বর্তমানে ২৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি কার্যক্রম চলছে।

এ সময় বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে এ টার্মিনালে কাজ শুরু হতে পারে। করোনার মধ্যেও ৭২ বছর বয়সি কনসালটেন্ট কাজ করছেন, যা ইতিবাচক দিক। এখানে আট-দশ হাজার কনটেইনার নিয়ে ১৮ দশমিক পাঁচ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারবে। আমাদের প্রচুর কনটেইনার পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে আট লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হচ্ছে। পরে জেটি বাড়লে সক্ষমতা বাড়বে। ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। প্রথম দিকে ৪৬০ মিটার লম্বা জেটি করা হচ্ছে। এতে বড় জাহাজে কনটেইনার এলে খরচ কমে যাবে, ব্যবসায়ীরা আকৃষ্ট হবেন। সড়কপথে কনটেইনার পরিবহন করা হবে, পরে রেলপথ যুক্ত হবে। রেলওয়ে এডিপি করেছে। আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে রেল যোগাযোগ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, একটি বন্দরের অধীনে অনেক টার্মিনাল বন্দর থাকতে পারে। মাতারবাড়ী পোর্ট চট্টগ্রাম বন্দরের সীমার মধ্যে।

এ সময় জাপানি পরামর্শক গ্রুপের টিম লিডার হোতানি বলেন, আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছি। প্রথম ধাপে ডিজাইন, সিভিল ওয়ার্ক হবে। দ্বিতীয় ধাপে হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে। সর্বাধুনিক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এ প্রকল্পে। ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। টেকনিক্যাল বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০