নিজস্ব প্রতিবেদক: আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি আন্ডার রাইটার নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি। ব্যাংকটি প্রথমে ১:৪ হারে রাইটস শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১:৫ হিসেবে রাইট শেয়ার ইস্যু অর্থাৎ বিদ্যমান প্রতি পাঁচটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার ইস্যু করার জন্য আবেদন করে। কিন্তু বিএসইসি তা বাতিল করেছে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৬১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৯টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে চার দশমিক ১১ শতাংশ, সরকারি ৩২
দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৫ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা দুই পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪৩ পয়সা।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৬টি শেয়ার মোট ৪৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৯৮ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।
