৩০% শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনের প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা আইন অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হবেন, সেসব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা বিএসইসির গতকালের সভায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ শেয়ার না থাকলে ওই কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে। অর্থাৎ ব্যর্থদের বাদ দিয়ে তার স্থলে নতুনরা দায়িত্ব পাবেন।

এর আগে শেয়ার ধারণ করার জন্য ৪৫ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেয় বিএসইসি। পরে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এতে শেয়ার ধারণের জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে সেই কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় তৎকালীন কমিশন। বিএসইসির আইনের ‘২সিসি’ ধারার ক্ষমতাবলে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারি করা হয়। শুরুতে নির্দেশনাটি নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসির পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট।

এদিকে গতকালের সভায় তালিকাভুক্ত সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিভিন্ন ফান্ড, করপোরেটসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ম্যান্ডাটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড কাজ করছে

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০