নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-বরিশাল পথে চলাচলকারী দ্রুতগামী জলযান ‘এমভি গ্রিন লাইন-২’ (ওয়াটার ওয়েজ) এর সঙ্গে কীর্তনখোলা নদীতে একটি কয়লাবাহী কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষের পর কার্গোটি ডুবে গেছে। এসময় ওয়াটার ওয়েজটির তলা ফেটে গেলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খরব পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। গতকাল শনিবার বিকালে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
নৌ-পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ২’ (ওয়াটার ওয়েজ)। এটি চরবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা কয়লাবাহী একটি কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরপরই কার্গোটি ডুবে যায়। তবে সাঁতরে কার্গোর ১০ জন স্টাফ তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি জানান।
মামুন মাসুদ-১ নামের কর্গোটি ৫২৫ টন কয়লা নিয়ে ঢাকা থেকে খুলনার নোয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কার্গোতে থাকা কয়লার আনুমানিক মূল্য ৭০ লাখ টাকা।
শফিকুল জানান, এছাড়া গ্রিন লাইন-২ এর তলা ফেটে গেলে সেটি দ্রুত তীরে ভেড়ানো হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়ার পর যানটির পেছনের অংশ পানিতে ডুবে গেছে। এতে প্রায় চারশ যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে গ্রিন লাইনের বরিশালের ম্যানেজার বাদশা মিয়া।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রিন লাইন-২ উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রাতের মধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
এছাড়া ডুবে যাওয়া কার্গোটি পানির নিচে কোথায় আছে তা চিহ্নিত করতে রোববার সকালে ডুবুরি দল আসবে। কার্গোটি মূল চ্যানেলে থাকলে উদ্ধার কাজ তখনই শুরু করা হবে। আর মূল চ্যানেলে না থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বরিশালে গ্রিন লাইন লঞ্চের সঙ্গে কার্গোর সংঘর্ষে কার্গোডুবি

Add Comment