নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ ও ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে যথাক্রমে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড: ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান) এবং ২০১৯ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬৯ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ পাঁচ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল পাঁচ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৭ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫২১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ পাঁচ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর দুই টাকা ৪০ পয়সা থেকে আট টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০১ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪০ কোটি ১৩ লাখ আট হাজার ৬০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং বাকি ৫৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন পয়সা লোকসান। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৯৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।