নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯-২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০২০ ও ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেবে না কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৩ পয়সা লোকসান এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৪৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা। আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান, এনএভি হয়েছে ৯ টাকা ৩৮ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা সাত পয়সা। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর যথাক্রমে বেলা ৩টায় (২০১৯) এবং ৪টায় (২০২০) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা লোকসান। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬২ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ২৭ পয়সা, যা গত ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে ছিল আট টাকা ৪৫ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৮ পয়সা লোকসান।
এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৬৫ শতাংশ বা তিন টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৬৫ হাজার ৩৮২টি শেয়ার মোট ৭৭৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩০ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৪ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩ টাকা থেকে ৪৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগে সর্বশেষ ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয় ১২ টাকা ৩৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট দুই কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।