টানা পতনে ফাঁকা ব্রোকারেজ হাউজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুদিন আগেও ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সরব উপস্থিতি ছিল। কিন্তু টানা পতনের কারণে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি নতুনদেরও বাজারের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে। ফলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের আনাগোনা কমছে। এতে ফাঁকা থাকছে বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউজ। ফলে কমে গেছে লেনদেন ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আয়।

তথ্যমতে, চলতি মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে গত ৫ এপ্রিল। ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১১৪ কোটি টাকা। এদিকে গতকাল সোমবার লেনদেনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯ কোটি টাকা। বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমায় ১২ থেকে ১৩ কার্যদিবসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬১৫ কোটি টাকা।

অপরদিকে চলতি মাসের শুরুতে ডিএসই সূচক সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। যা কমে গতকাল দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। টানা পতনে মাত্র ১২ থেকে ১৩ কার্যদিবসের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৩৪২ পয়েন্ট।

ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘বাজারে ডে-ট্রেডারদের সংখ্যা বাড়ছে। যে কারণে বাজারে স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। বিশেষ করে বাজারে যার যা ভূমিকা রাখা উচিত, তারা তা করছে না বলে মনে করছেন তিনি। আর এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বাজারবিমুখ হয়ে পড়ছে।’

কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দীর্ঘ মন্দার পর সব স্ট্রেকহোল্ডারদের চেষ্টায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাজার স্বাভাবিক গতি ফিরে পায়। যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর থেকে আবার শুরু হয় বড় ধরনের উত্থান-পতন। বিশেষ করে চলতি মাসের শুরু থেকে টানা পতন অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে চলে যাচ্ছেন। তারা বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ফোনে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। পতনের কারণে তাদের ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় উপস্থিতির প্রবণতা কমেছে। এ কারণে বেশিরভাগ আসনই ফাঁকা পড়ে থাকছে। লেনদেন কমায় ব্রোকারেজ হাউজের আয়ও কমছে। যদি এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তাহলে হাউজগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।

এ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্রোকারেজ হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, বাজার পতন হওয়ার পেছনে কোনো ধরনের নেগেটিভ দিক নেই। এখানে কতিপয় টেকনিক্যাল এনালিস্ট কারসাজির মাধ্যমে সেল-প্রেসার সৃষ্টি করছে। এ কারণে বাজার পতনের দিকে যাচ্ছে। যা সিকিউরিটিজ আইন পরিপন্থী। আর বাজারে টানা পতনের কারণে ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আগের চেয়ে কমছে। এতে হাউজগুলোর আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এখন বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করছে। অবশ্য এ মুহূর্তে কতিপয় কারসাজিচক্রকে খুঁজে বের করা উচিত।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০