রবির আইপিও’র শেয়ার বিওতে জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। গতকাল সিডিবিএলের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার বিও হিসাবে জমা হয়। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রবির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়া রবি। গত ১৭ নভেম্বর আইপিওর আবেদন শুরু হয়ে চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান রবি’র আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিলে আইপিওতে দুই হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এক হাজার ৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা নির্ধারিত আবেদনের চেয়ে পাঁচ দশমিক ৭৪ গুণ বেশি।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করে রবি।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, চার হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে সাত হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র চার পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

রবির মধ্যে দীর্ঘ দশ বছর পর পুঁজিবাজার আসল কোন বহুজাতিক কোম্পানি। সংশ্লিষ্টদের মতে, রবির নামের যে খ্যাতি রয়েছে, সেই তুলনায় ভালো নেই প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অবস্থা। কোম্পানিটির আয়-মুনাফায়ও কোনো ধারাবাহিকতা নেই, যে কারণে এই কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বাজারে এসে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

রবি আজিয়াটার আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছর লোকসানে ছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে লোকসানে ছিল। ২০১৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি লোকসান করে ৬৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। পরের বছর লোকসান কমে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকায়। পরে ব্যবসায়িকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে লাভে ফিরে আসে কোম্পানিটি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোম্পানিটি মুনাফা করে ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর আগের বছর (২০১৮ সালে) মুনাফা ছিল ২১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৯ সালে আগের চেয়ে মুনাফা অস্বাভাবিকহারে কমে গেছে।

যদিও ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির আয় বেড়েছে। এ সময় কোম্পানিটির রাজস্ব আয় দাঁড়ায় সাত হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তবে ২০১৮ সালে রবির আয় কমে যায়। ২০১৭ সালে কোম্পানিটির আয় ছিল ছয় হাজার ৮২৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৬ সালেও কোম্পানিটির আয় কমে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০