লেনদেনে বিমা ও ওষুধ খাতের একক আধিপত্য

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: করোনাকালের শুরুতে লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন এবং বিমা খাতের একক আধিপত্য দেখা যায়, যা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে অন্যান্য খাতের কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটে ঝুঁকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে লেনদেনে এ দুটি খাতের আধিপত্যে ভাটা পড়ে। পরবর্তীতে বিমা খাত ছন্দে ফিরলেও পিছিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। সম্প্রতি আবারও এক সঙ্গে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে এ দুই খাতের। গতকালও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনে বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের একক আধিপত্য। মোট লেনদেনে এই দুই খাতের অবদান ছিল ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে এগিয়ে ছিল বিমা খাত। গতকালও এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। একইভাবে লেনদেনেও এগিয়ে থাকে এ খাত। গতকাল দিন শেষে এ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে দিয়ে বেশ কিছুদিন পর আবারও মোট লেনদেনে এককভাবে ৩০ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয় খাতটি।

বিমা খাতের পর গতকাল মোট লেনদেনে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় ওষুধ ও রসায়ন খাতকে। বিমা খাতের মতো গতকাল দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় এ খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে দেখা যায় ১৬ শতাংশ। লেনদেনে ১৪ শতাংশ অবদান রেখে এর পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। এছাড়া অন্যান্য খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

এদিকে এক দিনের বিরতি দিয়ে গতকাল আবারও পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান দেখা গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয় পাঁচ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি গতকাল বাড়তে দেখা গেছে লেনদেনও। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় এক হাজার ২৪৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

গতকাল লেনদেন হয় ৩২ কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ চার কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার এসএস স্টিলের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ২৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০