শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিচ হ্যাচারি লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য  কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। কোম্পানির পর্ষদ সভায় ৩০ জুন ২০২০ হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা। এর আগের বছর লোকসান ছিল  ৩৬ পয়সা।

আলোচিত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।

এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ জানুয়ারি। কোম্পানিটির এজিএমের তারিখ, সময় ও ভেন্যু পরবর্তী নোটিসের মাধ্যমে জানানো হবে। উচ্চ আদালতের অনুমোদনের পর কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

২০০২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটি এখন ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।  শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটি ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ করে।  ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার বাজার মূলধনি এ কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি টাকা। গত এক বছরে কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় এবং সর্বনি¤œ লেনদেন হয় ১১ টাকা ৩০ পয়সায়। এই কোম্পানিটির ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ২১ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং বাকি ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বিচ হ্যাচারির। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের কার্যক্রম। সহসাই এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বা কার্যক্রম চালু হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদন না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত লেকসান গুনছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পুঞ্জীভূত আয় ঋণাত্মক অবস্থায় চলে গেছে। এদিকে উৎপাদনে না থাকা প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে ডিএসইর তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে থাকা কোম্পানির তালিকায়। যে কোনো সময় তালিকাচ্যুতির খবর আসতে পারে, বাজারে এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

অন্যদিকে কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তন হচ্ছেÑএমন গুজবে শেয়ার কিনে বিপাকে পড়েছেন তালিকাভুক্ত বিচ হ্যাচারির বিনিয়োগকারীরা। প্রায় দুই বছর আগে বাজারে গুজব রটে যে, বিচ হ্যাচারি একটি  গ্রুপের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে যুক্ত হয় রেণু উৎপাদন বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটির অন্য ব্যবসায় ঝুঁকে যাওয়ার খবর। তখন শেয়ারের দর ১২ টাকা থেকে বেড়ে ২৩ টাকায় চলে যায়। বর্তমানে এ শেয়ার আবার ১৩ টাকায় নেমে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শেয়ারধারীরা।

অন্যদিকে উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানে থাকার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর জেরে প্রতিষ্ঠানটি ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০