নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ বাস্তবায়ন হলে ভ্যাট জটিলতা নিরসনে ব্যবসায়ীদের আর কোনো উকিলের দ্বারস্থ হতে হবে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ বাস্তবায়নবিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, পুরোনো ভ্যাট আইনও মন্দ ছিল না; কিন্তু বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের আদালতে যেতে হতো। বিভিন্ন কারণে সেগুলো সংশোধন করতে গিয়ে আইনের কিছু বিচ্যুতি হয়েছে। সেসব সমস্যা বিবেচনা করে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এমন ভ্যাট আইন করা হয়েছে, যাতে এখন আর ব্যবসায়ীদের উকিলের কাছে যেতে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে। ফলে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে ২৮ থেকে ৩০ লাখ মামলা ঝুলে আছে। সেখানে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে এ-সংক্রান্ত কোনো মামলা না হলে সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
আনিসুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই এ আইন বাস্তবায়নে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; এ থেকেই বোঝা যায় নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা। ভ্যাট আগেও ছিল ১৫ শতাশ, এখনও ১৫ শতাংশই আছে। আমার কাছে নতুন আইনকে অনেক স্বচ্ছ মনে হয়েছে।
ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহ্মাদ বলেন, ৩২ হাজার কোটি টাকার ওপরে জাতীয় বাজস্ব বোর্ডের কাছে ব্যবসায়ীরা দেনা। ১০-১৫ বছরেও এর সমাধান হচ্ছে না। আমি প্রস্তাব রাখছিÑএ টাকার তিন ভাগের ভাগ দিলে বাকি টাকা যেন মওকুফ করে দেওয়া হয়।
মাতলুব আহ্মাদ বলেন, ২৬ হাজার মামলা ঝুলে আছে আমাদের মাথার ওপর। নতুন আইনে যাওয়ার আগে এগুলো মীমাংসা করলে ভালো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। সভায় এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ভ্যাট আইন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন। সভায় ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে আবারও সাত শতাংশ ভ্যাট সংগ্রহের আবেদন জানানো হয়।
নতুন ভ্যাট আইনে ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ পাস হয়। আগামী ১ জুন সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ বাস্তবায়ন হবে।
Add Comment