নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন কেব্লস লিমিটেডের দুই পরিচালক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দি এক্মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইস্টার্ন কেব্লস লিমিটেড: কোম্পানিটির পরিচালক মো. মফিজুর রহমান এবং মো. ইমদাদুল হক যথাক্রমে কোম্পানিটির পাঁচ লাখ ২১ হাজার এবং পাঁচ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে ব্লক মার্কেট থেকে তারা এ শেয়ার কিনবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ শেয়ার কেনা সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
প্রকৌশল খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৬৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সরকারি ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা ১৪ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫৫ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯৭ হাজার ৩৬৩ শেয়ার মোট ৪৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২১৫ টাকায় হাতবদল হয়।
এক্মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড: কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক মিজানুর রহমান সিনহা এক লাখ ৩১ হাজার শেয়ার বর্তমান বাজারদরে পাবলিক মার্কেট থেকে কিনবেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ শেয়ার কেনা সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২১ কোটি ১৬ লাখ এক হাজার ৭০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৪৭ শতাংশ বা এক টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৬ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৪ শেয়ার মোট ৮২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৮৪ টাকায় হাতবদল হয়।
