নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেছেন, পুঁজিবাজার এখন আস্থা ও গতিশীল বাজারে পরিণত হয়েছে। এটা হয়েছে অনেক উত্থানপতনের পর। ডিএসইর ৫৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এ কথা বলেন। সভাটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, এই গতিশীলতার পেছনে সরকারের পুঁজিবাজার বিষয়ক নীতি সহায়তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক ভূমিকা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা, স্টক এক্সচেঞ্জের নিরলস প্রচেষ্টা, বাজারসংশ্লিষ্ট সব পক্ষগুলোর একাগ্রতা ও নিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ও প্রজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে ডিএসইর লেনদেন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস বন্ধ থাকার পর পুঁজিবাজার সামগ্রিক চিত্র পাল্টে যায় উল্লেখ করে মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করি। অনেক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও পরিচালনা পর্ষদ ডিএসই’র আয়ের খাতসমূহে বৈচিত্র্য আনতে বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দক্ষ বিনিয়োগকারী গড়ে তোলার পাশাপাশি স্মার্ট, ত্রুটিহীন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে এর ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, সরকার একটি গতিশীল পুঁজিবাজার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে উদ্যোগী বিনিয়োগকারীরা ট্রেডিং ফ্লোরে সক্রিয় থাকায় ডিএসই চমৎকার লেনদেন পর্ব উপভোগ করছে। এছাড়া নি¤œ সুদের হার, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি ও রেমিট্যান্স এবং তুলনামূলক অর্থনৈতিক সক্রিয়তার ফলে ডিএসই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন, নিরীক্ষকবৃন্দের প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী গ্রহণ, বিবেচনা ও সর্বসম্মতিভাবে অনুমোদিত হয়। সমাপ্ত অর্থবছর পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশকৃত ৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। পরবর্তী অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের পারিতোষিক নির্ধারণ করা হয়। সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মো. সিদ্দিকুর রহমানকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
সভায় মো. শহীদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম, এনএলআই সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহেদ ইমরান, মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরীন, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।