ক্রীড়া ডেস্ক: করোনাভাইরাস শঙ্কায় বাংলাদেশ সফর থেকে সরে দাড়িয়েছেন কিরণ পোলার্ড, জেসন হোল্ডার, ড্যারেন ব্রাভো, শামার ব্রুকস, রোস্টন চেজ, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরান। পারিবারিক কারণে নেই ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডাওরিচ। তাদের না থাকায় কিছুটা হতাশ টিম টাইগার্স। তবে এ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না মুমিনুল হক-সৌম্য সরকাররা। তাদের চিন্তায় শুধুই জয়।
বেশ কিছুদিন ধরেই আঙ্গুলের চোটে ভুগছেন মুমিনুল হক। সেরে উঠতে তার আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে এ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তিনি। তার চোখ এখন শুধুই আসন্ন ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ।
গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে দল আসছে, সেটিকে দ্বিতীয় সারির দলই বলা যায়। মুমিনুলের চোখে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সারির দল বলে কিছু নেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট অর্জন ও বিশ্বকাপ সুপার লিগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির সিরিজ দুটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট-বড় চিন্তা করে খেলা যায় না। দল দেখে যদি ভাবেন জিতে যাবেন, ঠিক নয়। মূল ক্রিকেটাররা নেই, তার মানে এই নয় যে দল ওদের হালকাভাবে নেবে। দেশে খেললে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমরা ভালো করব। আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা অবশ্যই জয়ের জন্যই খেলব। শুধু এই দল দেখে নয়, ওদের মূল দল এলেও আমাদের মানসিকতা একই থাকত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন দল আসবে না আসবে তা নিয়ে মোটেও ভাবছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আসলে কোন দলকে হালকাভাবে দেখছেন না। মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনায় মূল্য লক্ষ্য।
করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে বাংলাদেশ। আগামী মাসে ফের মাঠের খেলায় ফিরবে টিম টাইগার্স। এটাই সৌম্য সরকারের কাছে বড় ব্যাপার। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যে কারণে মোটেও ভাবছেন না এ বাঁহাতি, ‘আমরা অনেক দিন আন্তর্জাতিক সিরিজে নেই। আর আন্তর্জাতিক সিরিজ সব সময়ই কঠিন। তবে আমরা যেহেতু হোমে খেলব, ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলার একটা সুবিধা তো থাকবেই। ওদের অনেক খেলোয়াড় আসছে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের খেলতে হবে তাদেরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেওয়ার মানসিকতায়।’
আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকায় আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর কোয়ারেন্টাইন থাকবে দলটি। সেটা শেষ হলে অনুশীলনে নামবে তারা। এরপর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হবে ২০ ও ২২ জানুয়ারি, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। শেষ ম্যাচ ২৫ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে।
ওয়ানডে সিরিজের পর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যার প্রথমটি হবে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। শেষ টেস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি।
