নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কার পার্কিংসহ অফিস স্পেস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সিলেটের মদিনা মার্কেটে অবস্থিত আক্তার শপিং সিটি কমপ্লেক্সে দুই হাজার ৫৬৪ বর্গফুট অফিস স্পেস এবং ২০০ বর্গফুট পার্কিং স্পেস কিনবে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। আর স্পেস কেনার জন্য কোম্পানিটির নিবন্ধন ও অন্যান্য খরচসহ মোট এক কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
এদিকে সম্প্রতি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির ৭৫৪তম সভায় ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। বন্ডের বৈশিষ্ট্য হলোÑআনসিকিউরড, নন-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, যা স্থানীয় সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুর্যাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাডিশনাল টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। এই বন্ডের ট্রাস্টি এবং ম্যানডেটেড লিড অ্যারেঞ্জোর হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯৪ পয়সা।
আর এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৩৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৭৪ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৭৩ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ তিন হাজার ৬৫৫টি শেয়ার মোট ১২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩ টাকা থেকে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৪৩ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।