ক্রীড়া ডেস্ক : গত মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে দেশের জার্সিতে সবশেষ দেখা গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। এরপর করোনায় খেলা বন্ধ থাকায় তিনিও ছিলেন মাঠের বাইরে। সবশেষ বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে ফিরে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেন এ ডানহাতি। যে কারণে ফের জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার। কিন্তু সোমবার আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘোষিত প্রাথমিক দলে সাবেক এ অধিনায়ককে রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে- ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় নেই এ পেসার। মানে নড়াইল এক্সপ্রেসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ বলা যায়!
মাশরাফির বয়স এখন ৩৭। তারপরও এ তারকা চেয়েছিলেন দেশের জার্সিতে আরও কয়েক বছর রঙিন পোশাকে মাঠ মাতাতে। কিন্তু উইন্ডিজের বিপক্ষে দলে জায়গা না পাওয়ায় অনেকের ধরে নিয়েছেন ম্যাশের ক্যারিয়া শেষ।
কেন বাদ পড়লেন মাশরাফি? সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এনিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, ‘অবশ্যই সবসময় ওর প্রতি সম্মান রয়েছে আমাদের। মাশরাফি আমাদের দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে বাস্তবতা আমাদেরকে মানতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
২০২৩ বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করেই মাশরাফিকে এবার দলে রাখেনি বিসিবি। এ ব্যাপারে নান্নু বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টি ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনায়। এটি আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা আর আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য মাশরাফিকে দলের বাইরে রাখতে হয়েছে। সেই হিসেবে আমরা মনে করি যে, নতুনভাবে পথা চলা। মাশরাফির জায়গায় যে খেলবে, তার জন্য অনেক বড় সুযোগ।’
ভবিষ্যত চিন্তা করে আপাতত তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চায় নির্বাচক ও টিম ম্যানেজম্যান্ট। এই সিদান্তের আগে মাশরাফির সঙ্গে কথা হয়েছে নান্নুর। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ওর সাথে কথা বলেছি। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি আমার যতটুকু বলার ছিল, তা বলে দিয়েছি। ভালোই আলোচনা হয়েছে, যার কারণে ভুল বুঝাবুঝির কিছুই নেই। এখানে অনেক প্রসঙ্গ এসেছে। টিম ম্যানেজমেন্টসহ আমরা অনেক আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাহলে জাতীয় দলে মাশরাফির ভবিষ্যৎ কি? এ উত্তর অবশ্য বেশ কৌশলেই সোমবার দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমরা দেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করে, আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদেরকে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগের জাগয়া করে দিতে হবে। মাশরাফি তো খেলা চালিয়ে যাবে। এটা ওর ওপর নির্ভর করবে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে, দেখা যাক কি হয়।’