নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের’ বিডিং অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির ৭৫৫তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে, যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, আংশিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে। কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৩৭ পয়সা। আর কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।উল্লেখ্য, কোম্পানিটির সম্মতিপত্র প্রদানের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তার মূলধন বৃদ্ধি করতে পারবে না এবং সব সময়ের জন্য তার সাবসিডিয়ারিতে ন্যূনতম ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
এদিকে বারাকা পাওয়ার লিমিটেড ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের আট শতাংশ নগদ এবং সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৫৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৫৮ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন ৭৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭১টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮৯১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২০ কোটি ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৬১ হাজার ৩৬৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।