পিপিপিতে এক্সপ্রেসওয়ে হবে গাবতলী-নবীনগর সড়ক

ইসমাইল আলী: গাবতলী থেকে সাভার হয়ে নবীনগর পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটি চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হবে। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) এটি উন্নয়ন করা হবে। টোল দিয়ে যানবাহন চলতে হবে নির্মিতব্য এক্সপ্রেসওয়েটিতে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য থাকবে সার্ভিস সড়ক। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ৯ম সভায় গত রোববার প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) না থাকায় শর্তসাপেক্ষে এটি অনুমোদন করা হয়।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, জয়দেবপুর থেকে দেবগ্রাম-ভুলতা হয়ে মদনপুর পর্যন্ত ঢাকা বাইপাস সড়কটি পিপিপিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হচ্ছে। সেটিতেও উভয়পাশে সার্ভিস সড়ক রাখা হয়েছে। ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ২১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্পও পিপিপিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও পাঁচটি প্রকল্প পিপিপিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এর মধ্যে একটি হলো গাবতলী-নবীনগর সড়ক।

২৮ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত এ সড়কটিতে দৈনিক গড়ে ১৭ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এতে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। ফলে মাত্র ২২ কিলোমিটার সড়কটি পাড়ি দিতেই একঘণ্টা লেগে যায়। তবে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হলে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটে এ সড়কটিতে যাতায়াত করা যাবে। এতে সময় অনেক সাশ্রয় হবে।

প্রকল্পটির আওতায় ছয় লেনের প্রবেশ সংরক্ষিত (এক্সসেস কন্ট্রোলড) সড়ক নির্মাণ করা হবে। এতে গাবতলী, হেমায়েতপুর, সাভার ও নবীনগরে চারটি ফ্লাইওভার বা ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় চারটি কোনো যানজটে পড়বে না এক্সপ্রেসওয়ের সড়কগুলো। দুই পাশে সার্ভিস সড়ক থাকবে। আর সার্ভিস সড়ক ও মূল এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে প্রতিবন্ধক হিসেবে ডিভাইডার থাকবে। ফলে যানবাহন যত্রতত্র প্রবেশ ও বের হতে পারবে না। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েটিতে ছয়টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে পথচারী ও যানবাহন পারাপারে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বৈঠকে উত্থাপনের পর কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। শর্তগুলোর মধ্যে প্রথমটি ছিলÑ এক্সপ্রেসওয়ের শুরুর পয়েন্ট হতে হবে গাবতলী। না হলে আরএসটিপি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এক্সপ্রেসওয়ের মাঝ বরাবর ন্যূনতম পাঁচ মিটার জায়গা রাখতে হবে, যাতে মেট্রোরেল লাইন-২ নির্মাণে কোনো জটিলতা না হয়। এছাড়া আন্ডারপাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি এবং ১২টি ফুটওভার ব্রিজ ও পাঁচটি বাস-বে নির্মাণ করতে হবে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শেয়ার বিজকে বলেন, বিদ্যমান গাবতলী-নবীনগর সড়কটি ২০০-৩০০ ফুট প্রশস্ত। এর মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১২০ ফুট জায়গা লাগবে। বাকি অংশে পাঁচ মিটার মেট্রোরেল ও সাড়ে পাঁচ মিটার সার্ভিস সড়কের জন্য জায়গা প্রয়োজন হবে। ফলে কোনো ধরনের জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই সড়কটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তর করা যাবে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০