নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে শনাক্ত আগের তুলনায় কমেছে। তবে গতকাল বেড়েছে মৃত্যু। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন যার সংখ্যা ছিল ১৬। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হলো ৭ হাজার ৭৫৬ জনের। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২১ হাজার ৩৮২।
এদিকে একই সময় দেশে নতুন করে আরও ৬৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ শতাংশের একটু ওপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, আগের দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৭৮৫।
অ্যান্টিজেনভিত্তিক পরীক্ষাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৮৫ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।
শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপর চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপর ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।
এই পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব রোগীদের মৃত্যুর হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার ২ দশমিক ০৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।