হাওরে সাড়ে আট লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে সৃষ্ট বন্যায় দেশের হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় সাড়ে আট লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। হাওর পরিস্থিতি নিয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে গতকাল ক্ষয়ক্ষতির হালনাগাদ এ তথ্য তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্যার ফলে সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় এক লাখ ৭৩ হাজার পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আর বিনষ্ট হয়েছে এক লাখ দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল। পাশাপাশি ২৩টি জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিলেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ ১৩ হাজার পরিবার। আর বিনষ্ট হয়েছে ২৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

এছাড়া নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় প্রায় এক লাখ ৬৭ হাজার পরিবার ও ১৯ হাজার হেক্টর জমির ফসল এবং ১৪টি জলাশয়ে মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক লাখ ৪৮ হাজার পরিবার ও ৪৫ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জে। হবিগঞ্জের আটটি উপজেলার প্রায় ৭৪ হাজার ৫০০টি পরিবার ও ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার ৭৪ হাজার পরিবার ও ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল এবং একটি জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের দুই হাজার ৮৬০টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৫ হাজার বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সচিব ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহসীন হালনাগাদ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

গত মাসের শেষ দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা তালিয়ে যায়। বোরো ধান কাটার এ মৌসুমে হঠাৎ এ বন্যায় লাখ লাখ কৃষকের মাথায় হাত পড়ে। এরপর পানি বিষাক্ত হলে মাছ মরা শুরু হয়, তারপর মরতে থাকে হাঁস। পরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি দল ওই এলাকা ঘুরে পানি পরীক্ষা করে বলে, প্রাথমিকভাবে ইউরেনিয়াম তেজস্ক্রিয়তার কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০