কাঁচামালের অভাবে আজিজ পাইপসের উৎপাদন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আজিজ পাইপস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, করোনাভাইরাস মহামারির (কভিড-১৯) কারণে কাঁচামাল সরবরাহকারী যথাসময়ে সরবরাহ না করায় প্রধান কাঁচামাল ‘পিভিসি রেসিন’ এর অভাবে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পেয়েছে এতে বর্তমান বাজার পণ্যমূলের চেয়ে উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি হবে। যার ফলে কোম্পানিটির প্রস্তুত পণ্য বাজারজাতকরণের বেলায় ভুগতে হতে পারে। এমতাবস্থায় গত ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ থেকে কোম্পানিটির কারখানার সি-শিফটের উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। পিভিসি রেসিন অর্থাৎ কাঁচামাল সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও উৎপাদন শুরু করবে কোম্পানিটি।

এদিকে ভবিষ্যতে যথাযথভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে আজিজ পাইপস লিমিটেডের। কোম্পানিটির ইকুইটি ধারাবাহিকভাবে নেতিবাচক হওয়ার পাশাপাশি ঋণ পরিষেবা এবং সুদের পরিষেবার অনুপাত কম হওয়ায় এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোম্পানিটির গোয়িং কনসার্ন হিসেবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতায় সন্দেহ থাকায় কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়েছে কোম্পানিটির নিরীক্ষক। কোম্পানিটির নিরীক্ষক আরও তিনটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ২৪০ (৩) ধারা অনুসারে শ্রমিকদের প্রাপ্ত কোম্পানির মুনাফার অংশ প্রদান করা হয়নি এবং শ্রমিকদের প্রাপ্ত ছয় লাখ ১২ হাজার ৮৭৮ টাকার বিনিময়ে কোনো ইন্টারেস্টও দেখানো হয়নি। দ্বিতীয়ত, কোম্পানিটির স্টক রেজিস্টার না থাকায় ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৫ টাকার ইনভেনটরিজের যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তৃতীয়ত, কোম্পানির ভ্যাট রিটার্নের সঙ্গে ক্রয়ের পরিমাণের অমিল ধরা পড়েছে।

সম্প্রতি ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ব্যতীত) ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৬ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)। আর ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা দুই পয়সা।

প্রকৌশল খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ১২৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৭২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার।

সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত পয়সা লোকসান অথচ আগের বছরে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা। আর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৮ পয়সা লোকসান। ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে যার পরিমাণ ছিল ১৪ টাকা ২২ পয়সা। এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৩ পয়সা আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ টাকা ৩০ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১