দুই কোম্পানির ঋণমান নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) ও ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রহিম টেক্সটাইল লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২২৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২৭ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন হাজার ৮৪৪টি শেয়ার ৫৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৯৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৮০ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৮৫ পয়সা। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা ৩৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৭১ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৭০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৫৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাতে ৩০৩ দশমিক ৬০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৬৯ দশমিক ৪২।

দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ মাইনাস’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা বা পরিচালক ব্যতীত) জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ করেছে।

কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির ৯ লাখ ২ হাজার ৮১৮টি শেয়ার মোট ৩৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই দিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১