লেনদেনে চার খাতের অবদান ৭২ শতাংশ

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও পুঁজিবাজারে সূচকের পতন দেখা গেছে। পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান দেখা গেছে পাঁচ হাজার ৭৮৯ পয়েন্ট। এ নিয়ে পরপর দুদিন সূচক নিম্নমুখী থাকল।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় সব খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও কিছু খাতের বিক্রয় চাপ বেশি ছিল, যে কারণে এসব খাতের শেয়ারদর তুলনামূলকভাবে বেশি কমেছে। এর জের ধরে লেনদেনে এগিয়ে গেছে এসব খাত।

খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যায়, গতকাল মোট লেনদেনে ৭২ শতাংশ অবদান ছিল চার খাতের। এ খাতগুলো হচ্ছেÑবিবিধ, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক।  এর মধ্যে মোট লেনদেনে

সবার ওপরে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অংশগ্রহণ ছিল ২৩ শতাংশ। লেনদেনে প্রায় সমপরিমাণ অবদান ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানির। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৪ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এছাড়া মোট লেনদেনে টেলিকমিউনিকেশন খাতের একক অবদান প্রায় ৯ শতাংশ এবং বিমার সাত শতাংশ অবদান চোখে পড়ে।

এদিকে গতকাল সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেন বাড়তে দেখা গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর আগের কার্যদিবসে এখানে মোট এক হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এদিকে গতকাল মোট লেনদেনের মধ্যে ৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হতে দেখা যায় ব্লক মার্কেটে। গতকাল এই মার্কেটে মোট ৩১টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০