নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে আসা করোনাভাইরাসের টিকার জন্য ‘সম্মতিপত্র বা অঙ্গীকারনামা’ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সন্দেহ থাকায় মন্ত্রীরা পরীক্ষা করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের আগে টিকা নেয়ার কথা বলছেন। গতকাল আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপিকে আগে টিকা নেয়ার অনুরোধ করেছেন। তাদের তো গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারÑএটা করেও মনের স্বাদ মিটছে না। এখন ভেজাল টিকা নিয়ে দেখবে বিএনপি মরে না বাঁচে। তারপর তারা নেবে। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ভারতেই এখনও হয়নি, তার আগেই বাংলাদেশকে দেয়া ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ মাত্র। এটা আমার কথা নয় বা বাংলাদেশের মিডিয়া এটা বলেনি। আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্স সংবাদ সংস্থা বলেছে, ট্রায়াল হিসেবে এটা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
রিজভী বলেন, ভারত নিজে তাদের দেশের লোককে এ করোনার টিকা দিচ্ছে না। মার্চ মাসে ট্রায়াল করবে। আমরা তেলাপোকা, আমরা কি ব্যাঙ, আমরা কি গিনিপিগ বাংলাদেশের লোক? যে সরকার মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করে, মানুষের বাঁচা-মরা দিয়ে তামাশা করে, সেই সরকার জনগণের সরকার নয়। এটা আমরা বারবার বলেছি। শুধু ভোটের ক্ষেত্রে নয়, মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রেও তারা তাচ্ছিল্য করেছে, তারা উপহাস করেছে।
টিকার জন্য সম্মতিপত্র বা অঙ্গীকারনামার বিষয়টিকে ‘জালিয়াতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, এখানেই তো সন্দেহ আরও ঢুকিয়ে দেয়া হলো। একটা টিকা দেবেন, সেই টিকাটা সব গবেষণায় উত্তীর্ণ হবে যে, টিকা নেয়ার পর এই করোনাভাইরাস আমাকে আক্রমণ করবে না। সেখানে অঙ্গীকারনামা কেন? সেখানে সম্মতিপত্র কেন? সেখানে সই দেবে কেন? জনগণ তো আরও সন্ত্রস্ত হলো যে, ওখানে ডাল মে কুচ কালা হ্যা।’
আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার মৃত্যুকে ‘স্বাভাবিক নয়, এক ধরনের হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিল হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে মারা যান কোকো।
সংগঠনের সভাপতি ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের ও কৃষক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আাবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও কৃষক দলের সহস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য দেন। শেষে কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক বিশেষ মোনাজাত করেন।