কভিডে আরও ১৪ মৃত্যু নতুন শনাক্ত ৫১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫১৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৫১৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৯১৬ হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মারা গেছেন আট হাজার ৫৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৪৭ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ, তা সোয়া পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছর ২ জুলাই চার হাজার ১৯ কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ৯ কোটি ৯৭ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ ৪১ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব, অর্থাৎ সর্বমোট ২০০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৮টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৫৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ছয় হাজার ৮৭১টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে সাত লাখ ৭৭ হাজার ৯১৭টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন ১২ পুরুষ ও দুই নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে আটজন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন খুলনা বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া আট হাজার ৫৫ জনের মধ্যে ছয় হাজার ১০৭ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৯৪৮ জন নারী। তাদের মধ্যে চার হাজার ৪৪৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া দুই হাজার ২১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে চার হাজার ৪৭৯ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৮৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৭ জন খুলনা বিভাগের, ২৪১ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৫ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০