জাতীয় পরিচয়পত্রসহ চলাচলের নির্দেশ

৪১৭ কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। নির্বাচনে ৪১৭টি কেন্দ্রকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়েছে পুলিশ। ওইসব কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এছাড়া নির্বাচনের দিন নগরীতে চলাচলের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সবাইকে বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল সিএমপি পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘৪১৭টি কেন্দ্রকে আমরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এসব কেন্দ্রপ্রতি আমরা কমপক্ষে ছয়জন করে পুলিশ মোতায়েন করছি। ক্ষেত্রবিশেষে আমরা এসব কেন্দ্রে আরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করব। এর পাশাপাশি ওইসব কেন্দ্রে আনসার সদস্যরা থাকবেন। আমাদের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক এসব কেন্দ্র মনিটরিং করবে।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব ঝুঁকি আমরা অনুমান করেছি, সেগুলো মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। আপনারা জানেন, নির্বাচনের আগের দিন থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক, তাদের আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই। কোনো ধরনের তথাকথিত বিজয় মিছিল অথবা বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা করলে আমরা তাদের কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করব। তারা কোন দলের আমরা সেদিকে দেখব না, যে-ই আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যে কোনো মূল্যে বহিরাগতদের ঠেকানো হবে জানিয়ে সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা নগরীতে অবস্থান করছেÑবিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বহিরাগতদের ঠেকাতে দুই সপ্তাহ আগে থেকে আমরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেছি। আমরা ভোটারদের অনুরোধ করছি, তারা যেন আগামীকাল (আজ) ভোটের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন তাদের জন্য আগামীকাল ভোট অনেক আনন্দদায়ক হবে। আর যারা পরিচয়পত্র নিয়ে আসবেন না, তাদের ও বহিরাগতদের জন্য আমাদের দ্বার বন্ধ। শুধু ভোটার নয়, যারা নগরীতে অফিস-আদালত করবেন তাদের প্রতিও আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা নির্বাচনের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছেÑএমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউকে আটক করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নামে আগে মামলা ছিল, ওয়ারেন্ট ছিল, সে কারণেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের একটি সিএমএস তালিকা আছে, সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা বিএনপির কারও কারও বাসায় যেতে পারেন। কিন্তু এটা বলা যাবে না, পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে ধরে এনে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড আমাদের এখানে হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই পক্ষের প্রতি আমরা সমান আচরণ করছি। যে কারণে চসিক নির্বাচনে গত কয়েক দিনে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি, সাধারণত স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে যে ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করি তেমন। শুধু ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো বড় ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। কারণ আমরা সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়ার জন্য আইন সমানভাবে প্রয়োগ করেছি।’

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০