ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ : দুই বোলার নিষিদ্ধ ১০ বছর

ক্রীড়া প্রতিবেদক: দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক আগে থেকেই আম্পায়ারিং নিয়ে ছিল বিতর্ক। চলতি মৌসুমে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটেও দেখা গেছে একই অবস্থা। যার অভিনব প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন লালমাটিয়া ক্লাবের বোলার মোহাম্মদ সুজন মাহমুদ ও ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসান। একই সঙ্গে ওই দুই ক্লাবকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)

গত ১১ এপ্রিল আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলত আচারণের জবাবে এক্সিওম ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৪ বলে ৯২ রান দিয়েছিলেন সুজন মাহমুদ। এরপর থেকে ঘটনাটি বিশ্বমিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পায়। এদিকে ফিয়ার ফাইটার্স ক্লাবের বোলার তাসনিম হাসান ১.১ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৯ রান। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিসিবি। গঠন করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠিন শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দুজন বোলার (সুজন ও তাসনিম) ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ। অধিনায়ক, ম্যানেজার ও দলের কোচ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ। দুই দল (লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্স) আজীবন নিষিদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতেই এমনটা করা হয়েছে। আমরা তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছি। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন কিছু

করার সাহস না দেখায়।’ ওই ঘটনায় দুই আম্পায়ারকে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে এ ঘটনার সূত্রপাত গেল ১১ এপ্রিল। সেদিন ব্যাটিং করতে নামলে লালমাটিয়া ক্লাবের সুজনকে আম্পায়াররা বলেছিলেন দ্রুত আউট হয়ে খেলা শেষ করতে। তা না হলে তারাই তাকে আউট দিয়ে দেবেন। আম্পায়ারদের এমন অপেশাদার কথার প্রতিবাদেই সুজন সেদিন ৪ বলে ৯২ রান দিয়েছিলেন। এর আগের দিন ইন্দিরা রোড ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে তাসনিম হাসান ১.১ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৬৯ রান। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পড়তে হলো বড় শাস্তির মুখে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০