নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের প্রতিষ্ঠান ইনটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ মার্চ কোম্পানির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৯ পয়সা।
এছাড়া চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে আট পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৯ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১১ পয়সা ছিল।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর তিন দশমিক ৮০ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ চার হাজার ২২০টি শেয়ার মোট ১৮৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৫ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা থেকে ৪৮ টাকায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির তিন কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৬০ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৮৪ দশমিক ৩৬ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজার দরের ভিত্তিতে পিই রেশিও ১৫৪ দশমিক ২২।