নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিংহভাগ শেয়ারের দর কমায় সূচকের পতন হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় ২৬৯ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। এদিন মোট ৩৫১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩৪টির এবং কমেছে ২৩৪টির। বাকি ৮৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৮৬ কোটি এক লাখ ৮২ হাজার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এদিন ১৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৮টি শেয়ার এক লাখ ৫৬ হাজার ১৭৮ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে দেড় ঘণ্টা উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয় এরপর থেকে শেষ পর্যন্ত পতনের চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৪৮৫ দশমিক শূন্য এক পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৯ দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ কমে এক হাজার ২৩৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক আট দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ১১০ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে স্থির হয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন এক হাজার ২১২ কোটি ৯১ লাখ তিন হাজার টাকা কমে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ৭১০ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকায়।
গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির ২৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ১৯০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ১৮৬ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ৫২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারদর এক টাকা ৭০ পয়সা কমেছে। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৩৭ কোটি সাত লাখ ৩০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২৯ কোটি ৬২ লাখ এক হাজার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ২৭ কোটি আট লাখ ৩১ হাজার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ২৪ কোটি পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ২৩ কোটি ৬৯ লাখ ১৩ হাজার টাকার, মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের ১৮ কোটি ৫৭ লাখ সাত হাজার টাকার এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
৫০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ, গোল্ডেনসন লিমিটেডের ১০ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পাঁচ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের চার দশমিক ৯৯ শতাংশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের চার দশমিক ৮৫ শতাংশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের চার দশমিক ৭৯ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের চার দশমিক ৪০ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এক দশমিক ৯৭ শতাংশ, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৫৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৫৮৫ দশমিক শূন্য সাত পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৫ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৮৮৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৪২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ১৫৫টির এবং ৫১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৪ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৩ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ টাকার। সিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা মীর আক্তার হোসেন রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের এক কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক কোটি ৩৯ লাখ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এক কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৮৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেডের ৬৭ লাখ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং গোল্ডেনসন লিমিটেডের ৬১ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।