গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ‘প্রেস কাউন্সিল দিবস’ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস কাউন্সিলের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া এবং কাউন্সিলের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিল দিবস’, ২০১৭ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সঙ্গে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতা যেন অপরের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দুটিই নিশ্চিত করতে পারে।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং সব গণমাধ্যমকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী দিনগুলোতে প্রেস কাউন্সিল আরও কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ কথার দুই ধরনের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২ বছর ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব-দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’

বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ’ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বিএনপির জন্য পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে। শনিবার তারা খবরের শিরোনাম হতে চেয়ে গণ্ডগোল ঘটানোর জন্যই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুলিশের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তা অবরোধ করেছিল।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০