লেনদেনে আধিপত্য দুর্বল কোম্পানির

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নি¤œমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা থাকলেও দিন শেষে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। লেনদেন শেষে ১১ পয়েন্ট কমে ডিএসইর প্রধান সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৪০৪ পয়েন্ট।

এদিকে সূচক পতনের দিনে কিছু দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য দেখা যায়। প্রায় সারাদিন মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির সঙ্গে এসব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা দেখা যায়। এর জের ধরে দিন শেষে দর বৃদ্ধির দৌড়েও এগিয়ে থাকতে দেখা যায় এসব কোম্পানিকে। এই তালিকায় ছিল জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, ফ্যামিলিটেক্স, এমারাল্ড অয়েলসহ আরও কিছু কোম্পানি।

অন্যদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, সবার শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ২২ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে খাতটির অবদান দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবদান ছিল ১৩ শতাংশ। একইভাবে মোট লেনদেনে আর্থিক খাতের ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতের অবদান দেখা যায় ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকাল সূচক হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি লেনদেনও কমে যায়। গতকাল সব লেনদেনের গতি ছিল বেশ সন্তোষজনক। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ২০৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে যেতে দেখা যায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৬১৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এর মধ্যে ডিএসর ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ১২ কোটি টাকার শেয়ার। গতকাল এই মার্কেটে মোট ১৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪০টি শেয়ার ২৩ বার হাত বদল হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ তিন কোটি ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকার রেনাটার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০