নিজস্ব প্রতিবেদক: পতনের বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারে বেশি ঝোঁক দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। গতকাল দেশের দুই পুঁজিবাজারেই সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে আগের দিনের চেয়ে। এ সময় জ্বালানি, প্রকৌশল ও ব্যাংক খাতের শেয়ারেই লেনদেন বেশি দেখা গেছে। এতে অন্যান্য খাতে আগ্রহ কম থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণে।
দেশের উভয় বাজার পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। এতে অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিট দরে পতন দেখা যায়। পুঁজিবাজারের লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দুই দশমিক ২৬ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১০ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ২৬৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, দুই হাজার ১৪৯ দশমিক ৯২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৯৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট।
দিন শেষে দেখা যায় ৮৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার লেনদেন হয় ডিএসইতে, যা আগের দিন থেকে ১৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার।
ডিএসইতে গতকাল ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৬৪টির বা ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৭৩টির বা ৪৯ দশমিক ২৯ শতাংশের এবং ১১৪টির বা ৩২ দশমিক ৪৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৩ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৭৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।
লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক সাত শতাংশ অবদান রাখে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। অর্থাৎ এ খাতের শেয়ার সবচেয়ে বেশি হাতবদল হয়েছে গতকাল। এ খাতের ১৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এরপরই রয়েছে ওষুধ, টেলিকম, প্রকৌশল খাত। গতকাল খাতওয়ারি সূচক বৃদ্ধির সর্বোচ্চ খাতে ছিল পাট। এ সময়ে এ খাতের সূচক ৬২ শতাংশের ওপরে বৃদ্ধি পায় একদিনেই।