করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নারীবান্ধব নীতি জরুরি: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে নিতে নারীবান্ধব নীতি করা জরুরি। নারীবান্ধব রাজস্বনীতির পাশাপাশি করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘কভিড মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা মাঝারি ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারা যেন সহজে পেতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা দরকার।’

ডিজিটাল ডিভাইডের শিকার হয়ে নারীরা যেন তথ্য-প্রযুক্তিতে পিছিয়ে না পড়ে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০২১’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত। নারী-পুরুষ সবার মৌলিক অধিকার তিনি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে গেছেন। এই আইনি কাঠামোর ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ।’

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ নারীদের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নজির দৃশ্যমান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০ নারী সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ২৩ নারী সরাসরি নির্বাচিত, যা জাতির পিতার সুগভীর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার ফল।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে যে কাজ করছেন, তা সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত। ফলস্বরূপ তিনি সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্ল্যানেট ফিফটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮-সহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কভিড মোকাবিলায় অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক বিশ্বের তিন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ সম্মাননা তিনি অর্জন করেছেন, যা সমগ্র জাতির জন্য গৌরবের।’

স্পিকার বলেন, ‘নারীদের অধিকতর অগ্রসর হওয়ার জন্য অবকাঠামোগত সব সুবিধা নিশ্চিত জরুরি। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ তৃণমূল নারীদের জন্য অবারিত করতে হবে, যেন তারা নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে তা কাজে লাগাতে পারেন।’

শ্রমবাজারে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

অধ্যাপক ড. সুলতানা শফির সভাপতিত্ব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বেগম মতিয়া চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০