সপ্তাহের ব্যবধান : ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ২৩.২১%

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও টার্নওভার কমেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তিনদিন সূচক বেড়েছে এবং দুদিন কমেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ছয় দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ। গেল সপ্তাহে ডিএসই’র টার্নওভার আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে দৈনিক গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ। বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ২০ শতাংশ।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টি কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি দুটির।

অন্যদিকে সিএসইতে ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি কোম্পানির শেয়ারদর।

এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১০ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ৯১৪ টাকা। আগের  সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৫৭৬ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪২৭ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৭ টাকা বা ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে ডিএসই’র মোট টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৬ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল দুই হাজার ৮৮৩ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ১৩৪ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে ৪১ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৮ টাকা বা এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭ কোটি ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৮ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৮ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ।

ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ছয় দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা  দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে গত সপ্তাহের শেষ দিন পাঁচ হাজার ৫৪০ দশমিক ৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস এক দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৭৫ দশমিক ০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক এক পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩ দশমিক ৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এক সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে দশমিক ০৮ শতাংশ। এছাড়া সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে  দশমিক ১০ শতাংশ, সিএসই৫০ সূচক দশমিক ০৭ শতাংশ এবং সিএসআই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে সিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সিএসইতে গত সপ্তাহে টার্নওভারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৪ কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ২২৬ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ টাকা। আগের সপ্তাহে টার্নওভার ছিল ১৮৯ কোটি ৯০ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৭ টাকা।

গত সপ্তাহেও ডিএসই’র টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৯ টাকা ১৯ পয়সা বেড়েছে। তালিকায় এর পরের অবস্থানগুলোতে ছিল এফএএস ফিন্যান্স, রংপুর ডেইরি, ফারইস্ট ফিন্যান্স, রূপালি ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ন্যাশনাল ফিড মিল, আমরা টেকনোলজিস, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং ওয়ান ব্যাংক।

অন্যদিকে ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর কমে ডিএসইতে টপ টেন লুজার তালিকার শীর্ষে চলে আসে জনতা ইন্স্যুরেন্স। এরপর ছিল তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, এমআই সিমেন্ট, জাহিন টেক্স, এশিয়া প্যাসিফিক, জেমিনি সি ফুড, জিল বাংলা, নিটোল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, আরামিট সিমেন্ট।

ডিএসইতে টার্নওভারের দিক থেকে শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজিবাজার পাওয়ার, সাইফ পাওয়ার, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামিক ফাইন্যান্স, আর্গন ডেনিমস।

সিএসইতে সাপ্তাহিক টপ টেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিডি ফাইন্যান্স, কে অ্যান্ড কিউ, বিচ হ্যাচারি, এফএএস ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, রূপালি ব্যাংক, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ও রংপুর ডেইরি।

অন্যদিকে টপ টেন লুজার তালিকায় উঠে আসে জনতা ইন্সুরেন্স, আজিজ পাইপস, এমআই সিমেন্ট, জাহিন টেক্স, তাকাফুল ইসলামি ইন্সুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, এইচডাব্লিউএ ওয়েল টেক্সটাইল, নিটোল ইন্সুরেন্স, আরামিট সিমেন্ট, ইমাম বাটন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০