আকাশ ডিটিএইচ সেবা

বাংলাদেশের চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা

দেশ বিভাজনে বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশ-ভারতের ছিটমহলগুলো ২০১৫ সালে বিলুপ্ত হলেও এর বাসিন্দাদের কাছে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানার কোনো সুযোগ ছিল না। প্রায় ৭৪ বছর পর বিলুপ্ত ছিটমহলে এখন আধুনিক টেলিভিশন সংযোগ পৌঁছে গেছে। এটি সম্ভব হয়েছে দেশের একমাত্র ডিটিএইচ সেবাদাতা ব্র্যান্ড আকাশের হাত ধরে। প্রতিষ্ঠানটির বদৌলতে সাবেক ‘ছিটমহলবাসীরা’ টেলিভিশন দেখে তথ্য ও বিনোদন জগতের নতুন পৃথিবীতে সংযুক্ত হচ্ছেন।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের প্রক্রিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের সীমারেখা আঁকেন ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল জন র‌্যাডক্লিফ। তার কলমের খোঁচায় রাষ্ট্রহীন হয় বাংলাদেশের লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও নীলফামারীর সীমান্ত এবং ভারতের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছিটমহলগুলোর বাসিন্দারা। ‘ছিটের লোক’, ‘নেই মানুষ’, ‘নিজভূমে পরবাসী’ নামে ডাকা হতো তাদের। পরস্পর বিচ্ছিন্ন এ মানুষরা চাইলেও বৈধভাবে নিজদেশের মূল ভূখণ্ডে যেতে পারতেন না। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকেও তারা অনেকটা বঞ্চিত ছিলেন। পরিচয় গোপন করে কিছু সেবা নিলেও রাষ্ট্রের চোখে তা ছিল অপরাধ।

বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের মানুষ ও ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের মানুষ ২০১৫ সালে পছন্দমতো দেশের নাগরিকত্ব নেয়ার সুযোগ পান। ৬৮ বছরের সেই অবরুদ্ধতার অবসান ঘটলেও তথ্য যোগাযোগ ও বিনোদনের মাধ্যমগুলো ছিল প্রায় বন্ধ। বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোয় বিদ্যুৎ সংযোগের হাত ধরে এখন পৌঁছে গেছে টিভি দেখার আধুনিক সংযোগ সেবা ডিটিএইচ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ফিড নিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে সেবা প্রদান শুরু করে আকাশ। স্যাটেলাইট সংযুক্তি ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে আকাশ ব্যবহারকারীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে উন্নত ও একইমানের ছবি-শব্দসহ টিভি দেখতে পান। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে এমন সেবা শুধু আকাশই দিচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০