লেনদেনে তিন খাতের দাপট

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে নামমাত্র ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক এক পয়েন্ট বেড়ে স্থির হয় পাঁচ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে। পাশাপাশি কমে যায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৪৫টি ফান্ডের ইউনিট এবং শেয়ারের মধ্যে দর হ্রাস পায় ১৩৮টির।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় ছিল ১০০ টাকার কম দর রয়েছে এমন শেয়ারে। সারাদিনই এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারে নজর ছিল তাদের।

অন্যদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে গতকাল এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ এবং ব্যাংক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে সবার শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেনে খাতটির অবদান ছিল ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের মোট লেনদেনে অবদান দেখা যায় ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংক খাতের লেনদেনে অংশগ্রহণ ছিল ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট ৬৩১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার। এই মার্কেটে মোট ২৫টি কোম্পানি লেনদেনে করে। কোম্পানিগুলোর ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৮৩০টি শেয়ার ৪৬ বার হাত বদল হতে দেখা যায়।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর।

এছাড়া আইডিএলসির ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার, আইএফআইসির ৬৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার, কোহিনুর কেমিক্যালের ৪৬ লাখ টাকার সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৯২ লাখ ৮১ হাজার টাকার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৩ লাখ টাকার, এমারাল্ড অয়েলের ৩৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। একইভাবে ব্লক মার্কেটে আমান কটনের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, আর্গন ডেনিমসের ৫ লাখ টাকার, বিবিএস কেব্লসের ৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০