শেয়ার বিজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে গত ২৫ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যার শিকার ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের জন্য বিশেষ মুনাজাত করা হয়। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক ২৫ মার্চকে জাতীয় ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতিদানের বিষয়টিকে ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরীহ বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তির আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এই গণহত্যাকে তিনি বিংশ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম গণহত্যাগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য দূতাবাস কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকীকরণের উদ্দেশ্যে কারিগরি সহযোগিতার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফরকালে কম্বোডিয়ার গণহত্যা জাদুঘর ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গণহতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর নির্মিত ‘৭১ এর গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
