নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারিতে বিদ্যমান লকডাউন তথা বিধিনিষেধের মধ্যে ১২ ও ১৩ এপ্রিল দোকানপাট ও শপিংমল আট ঘণ্টা খোলা রাখা এবং সিটি এলাকায় সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বর্ধিতকরণ’ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৪ ও ৮ এপ্রিলের নিষেধাজ্ঞা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
এর আগে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে দাবির মুখে ৮ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল এবং সিটি এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয়া হয়।
৮ এপ্রিলের আদেশে বলা হয়, ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া কভিড-১৯ এর টিকাকরণ কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস, গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান চলাচল, দোকানপাট-শপিংমল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। তবে নিত্যপণ্যের দোকান ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত রাখা হয়।
কিন্তু অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পর ৭ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করা হয়। তবে বিদ্যমান লকডাউন ১৪ এপ্রিল থেকে আরও কঠোর করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ নিয়ে রোববার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সভা চলছে। সভায় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়। তবে এবার অফিস-আদালত ও গণপরিবহন একেবারে বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে চালু থাকবে শিল্পকারখানা।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবশেষ ১১ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণে মারা যায় ৭৮ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮১৯ জন।