মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। একইভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানি ও ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিটদর। গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৬১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে বেড়েছে ১৮০টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৭ কোম্পানির শেয়ারদর। একইভাবে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল আগের কার্যদিবসের মতোই লেনদেনে আধিপত্য ছিল বিমা ও বিবিধ খাতের। যার জের ধরে দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় খাতটির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। মোট লেনদেনেও এগিয়ে যায় এ দুই খাত। গতকাল মোট লেনদেনের ৬১ শতাংশই ছিল এই দুই খাতের। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ ছিল বিমার দখলে। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিবিধ খাত ২৪ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। প্রায় সাত শতাংশ অবদান রেখে লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। লেনদেনে পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে প্রায় চার শতাংশ অবদার রাখে। এছাড়া লেনদেনে অন্য খাতগুলোর অবদান তেমন চোখে পড়েনি।
অন্যদিকে গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এদিন ডিএসইতে মোট এক হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ডিএসইতে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সে হিসাবে গতকাল ডিএসইতে গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। গতকালের লেনদেন ছিল আগের দিনের চেয়ে ২৩৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ দিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।
এদিকে গতকালের লেনদেনের মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৬২ কোটি টাকা। এ মার্কেটে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ৩২টি কোম্পানি। আগের কার্যদিবসের মতো গতকাল লেনদেনে বৃদ্ধির দৌড়ে এগিয়ে ছিল ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি। গতকাল লেনদেনে এ ধরনের ২৬৫টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে বাড়ে ১২৫টির। পক্ষান্তরে ৭৯টির কমে এবং ৬১টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।