মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গতকালের লেনদেন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়ে ১৭ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচক স্থির হয় পাঁচ হাজার ৬০৬ পয়েন্টে। এর মধ্যে দিয়ে দুই মাস আগের অবস্থানে ফিরে যায় সূচক।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকালও সূচকের পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে দর বাড়তে দেখা যায় ১৮০টির। পক্ষান্তরে কমে ১২০টির শেয়ারদর। পাশাপাশি অপরিবর্তিত ছিল ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গতকাল কোনো খাতের একক আধিপত্য ছিল না। খাতভিত্তিক লেনদেন করার বদলে বিনিয়োগকারীদের নজর ছিল কোম্পানিভিত্তিক বিনিয়োগে। এ কারণে দিন শেষে বেশিরভাগ খাত মোট লেনদেনে পাঁচ থেকে আট শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় ৭৮ কোটি টাকা। এ মার্কেটে মোট ৪৬টি কোম্পানি অংশ নেয়। কোম্পানিগুলোর এক কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ১১২ বার হাতবদল হতে দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১১ কোটি ৬৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার টাকার ন্যাশনাল ফিড মিলসের। তৃতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ছয় কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ইজেনারেশনর পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকার ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর তিন কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। বেক্সিমকোর দুই কোটি ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ও ডেসকোর এক কোটি ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়।
একইভাবে গতকাল গ্রামীণফোনের তিন কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের এক কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং ওআরডি ফুডের তিন কোটি ৮৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। স্কয়ার ফার্মার চার কোটি ২২ লাখ টাকার ও এসএস স্টিলের দুই কোটি ৬২ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় এদিন।
