সিটিকে কাঁদিয়ে ইউরোপ সেরা চেলসি

ক্রীড়া ডেস্ক ঃ চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে রয়েছে চেলসি। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দলটি ম্যানচেস্টার সিটিকে কাঁদিয়ে জিতে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। দলটির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন   কাই হাভার্টজ।

পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে শনিবার অল ইংলিশ ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে চেলসি। এরফলে চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি। এরআগে ২০০৭-০৮ আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা। চার বছর পর বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারেই হারিয়ে প্রথম ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল দলটি।

শিরোপা লড়াইয়ে বল দখলে আধিপত্য করলেও আক্রমণে সেটা ধরে রাখতে পারেনি সিটি। যে কারণে বিরতির আগেই তারা পেছনে পড়ে। সে সময় চেলসির হয়ে গোল করেন কাই হাভার্টজ।  গোলরক্ষক মঁদির বাড়ানো বল মাঝমাঠে পেয়ে সুযোগ বুঝে হাভার্টজের উদ্দেশে থ্রু পাস বাড়ান ম্যাসন মাউন্ট। কী বুঝে পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে বেরিয়ে যান এদেরসন, ওয়ান-অন-ওয়ানে দারুণ এক টোকায় তাকে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান হাভার্টজ।

বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। তবে তাতে বড় ধাক্কা লাগে ম্যাচের ৬০ মিনিটে। সে সময় চোট পেয়ে কেভিন ডি ব্রুইনা মাঠ ছাড়েন। সে সময় ডি ব্রুইনার বদলে গাব্রিয়েল জেসুসকে নামান গার্দিওলা। কিন্তু শুরু থেকে গুন্দোয়ান-বের্নার্দো সিলভা-ফোডেন-মাহরেজ-স্টার্লিং-ডি ব্রুইনাকে নিয়ে গড়া তাঁর অতি-আক্রমণাত্মক মাঝমাঠে রক্ষণের ভরসা হওয়ার মতো কেউ ছিলেন না। যে জায়গায় চেলসির হয়ে দারুণ দেখিয়েছেন চোট কাটিয়ে ফেরা এনগোলো কান্তে আর জর্জিনিও।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সমতা ফেরানোর একটা সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু মাহরেজের ক্রসে জেসুস পা ছোঁয়ানোর আগেই চেলসিকে বিপদমুক্ত করেন আসপিলিকেতা। মাঝে ৭৩ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক চেলসির হয়ে গোলের খুব কাছে গিয়েছিলেন।

শেষ দিকে ফের সিটির সমতায় ফেরানোর দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন মাহরেজ। যে কারণে শিরোপা হারের বেদনা নিয়ে মাঠে ছাড়ে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০