মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হযেছে। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে সূচক বাড়তে দেখা যায়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরে কিছুক্ষণ সূচক নি¤œমুখী হতে দেখা গেছে। দিন শেষে আবারও আগের অবস্থায় অর্থাৎ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে যায় সূচক। ২২ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার আট পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে ব্যাংক ও বিমা খাতে বিক্রয় চাপ বেশি ছিল। মূলত গত কয়েক দিন ধরে বাড়ছে এ দুই খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর। এ কারণে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারা মুনাফায় রয়েছেন। ফলে যারা মুনাফায় রয়েছেন তারা গতকাল মুনাফা তুলেছেন। এ কারণে অন্য খাতের তুলনায় এ দুই খাতের শেয়ারে বিক্রয় চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে দিন শেষে দর কমে বেশিরভাগ ব্যাংক ও বিমার শেয়ারের।
এদিকে বিক্রয় চাপ বেশি থাকায় গতকাল এ দুই খাতে লেনদেনও বেশি হয়েছে। ফলে দিন শেষে মোট লেনদেনে সবার শীর্ষে চলে আসে খাত দুটি। দিন শেষে মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অবদান দাঁড়ায় ২৭ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ মোট লেনদেনে এ দুই খাতের অবদান দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৬৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪টির বা ৩৯ দশমিক ৫৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। শেয়ারদর কমেছে ১৭৪টির বা ৪৭ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং বাকি ৪৬টির বা ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশের দর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে গতকাল আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। দিন শেষে ডিএসইতে দুই হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন থেকে ২১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। এদিকে গতকাল ডিএসইর ব্লক মার্কেটে মোট ৭১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। গতকাল এ মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড।