আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সুবিধা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের মতের ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদেরও ঋণ পরিশোধে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আপাতত ঋণের কিস্তির একটা অংশ শোধ করলে খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচতে পারবেন তারা। চলতি বছরের জুন মাসের ঋণের কিস্তির অর্ধেক টাকা আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলেই খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না তারা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ‘ঋণ, লিজ, আ?গ্রিম শ্রেণীকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়, মহামারি কভিডের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণিকরণ বিষয় এর আগে শিথিল করে চলতি বছরের মার্চ মাসের ঋণের কিস্তি জুনের মধ্যে পরিশোধ করলেও শ্রেণিকরণ বা ঋণ খেলাপি করা যাবে না বলে সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখা এবং এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ঋণ পরিশোধে ছাড় আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসের ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই সময়ে ঋণ বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। জুন মাসের কিস্তির বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বশেষ কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে। জুনের অবশিষ্টাংশ কিস্তি পরবর্তী কিস্তির সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে।

ঋণ বা লিজের সুদ আদয় সাপেক্ষে আয় খাতে দেখাতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সুদ হিসাবায়ন হবে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী। তবে এ সময় ঋণের দণ্ড সুদ ও অতিরিক্তি ফি, চার্জ বা কমিশনও আদায় করা যাবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনে সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০