শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ: ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান লকডাউন শিথিল করার পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
ফেরির চারটি পন্টুনে পণ্যবাহী ছোট বড় যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের চাপও রয়েছে। তবে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৭টির মধ্যে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে পদ্মার পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় চার শতাধিক ছোট বড় যানবাহন রয়েছে। লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক সাহাদাত হোসেন জানান, এ রুটে মোট ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকি লঞ্চগুলোর কাগজপত্র আপডেট নেই বিধায় চালাতে পারছে না। লঞ্চঘাটগুলোয়ও যাত্রীদের চাপ রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে একাধারে ১৪ দিনের সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে তা শিথিল করে লঞ্চ ও গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর পর রাজধানী ছেড়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে চরে পদ্মা পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে নিজ গ্রামে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
এদিকে লৌহজং উপজেলার শামুর বাড়ি এলাকায় পদ্মাসংলগ্ন ডহুরি খালে বালিবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ৩১টি কোরবানির গরু বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল দুপুর ১টার দিকে গরু বোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়।
পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২৪টি গরু জীবিত উদ্ধার করা হলেও একটি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বাকি ছয়টি গরুসহ ট্রলারটি নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার ও নিখোঁজ ছয়টি গরু উদ্ধার কাজ চলছে।
এমবি মোল্লা-১ নামের বালিবাহী বাল্কহেডটি জব্দ করেছে লৌহজং থানা পুলিশ।
উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মো. রাসেদ মিয়া জানান, ফরিদপুর থেকে কোরবানির পশু বোঝাই করে একটি ট্রলার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শামুর বাড়ি এলাকায় পদ্মা নদীসংলগ্ন ডহুরি খালের অপর দিক থেকে আসা এমবি মোল্লা-১ নামের একটি বালিবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ৩১ গরু নিয়ে ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ২৪টি গরুর রশি কেটে দিলে গরুগুলো পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। একটি গরু মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং ছয়টি গরু বহনকারী ট্রলারটি নিখোঁজ রয়েছে। এ সময় ট্রলারে থাকা চারজন গরু ব্যবসায়ী আহত হলে তাদের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
লৌহজং থানা পুলিশ বালুবাহী বাল্কহেডটি জব্দ করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইন জানান, এ ঘটনায় ২৪টি গরু জীবিত অবস্থায় এবং একটি মৃত গরু উদ্বার করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকি ছয়টি গরুসহ নিখোঁজ ট্রলারটি উদ্ধারকাজ চলছে। বালিবাহী এমবি মোল্লা-১ বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। l//NXvta�
