নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনের এই সময়ে সবাই যখন ঘুমে অচেতন, তখন ভেড়ামারা কাস্টমস অফিসের নিবারক দল সরকারের রাজস্ব রোধের লক্ষ্যে রাতের বেলায় নিবারক অভিযান পরিচালনায় ব্যস্ত। কেননা, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, যশোর এর কমিশনারের নিকট গোপন সংবাদ ছিলো, কতিপয় গোষ্ঠীর যোগসাজশে রাতের লোকচক্ষুর অন্তরালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন বিড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মূসক চালানবিহীন বিড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এই সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ, কুষ্টিয়া এর ডেপুটি কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায়, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কুষ্টিয়া সার্কেল-২, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া এর রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নওশের আলী মুন্সীর নেতৃত্বে একটি নিবারক দল সোমবার (২ আগস্ট) রাত ১টায় অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা হতে তারা বিড়ি নামের বিড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৬০ হাজার শলাকা পুনঃ ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলযুক্ত মূসক চালান বিহীন বিড়ি আটক করা হয়।
বিড়ির বাজার মূল্য দুই লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা; যাতে জড়িত রাজস্ব এক লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা। পরবর্তীতে আটককৃত বিড়ি ভেড়ামারা কাস্টমস অফিস এ নিয়ে এসে গোডাউনে জমা প্রদান করা হয়। মূসক আইন-২০১২ অনুযায়ী আটককৃত বিড়ির ব্যাপারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যশোর ভ্যাট কমিশনার মো. জাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, এর আগে ২৮ জুলাই কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-২, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের একটি নিবারক বারো মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে ভোলা বিড়ি নামের বিড়ি প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ শলাকার পুনঃ ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি আটক করেন। যার বাজার মূল্য এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা। যাতে জড়িত রাজস্ব ৬৪ হাজার ৮০০ টাকা। লকডাউনের মধ্যেও কর্মকর্তারা এই রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বিড়ি আটক করেন।
##
