নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে না অনেক ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) গ্রাহক। এ প্রতিবেদন ছাড়াই ঋণ মঞ্জুর করা হচ্ছে। এতে সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে না। উল্টো প্রকৃত তথ্য আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার স্বাক্ষর করা তথ্য দিচ্ছে। এখন থেকে এ তথ্যের ওপর ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ অনুসরণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ/নবায়ন করার সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস কর্তৃক নিরীক্ষিত এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রণীত হালনাগাদ
আর্থিক বিবরণী জমা দিতে হবে। অনেকেই ম্যানেজমেন্ট অডিট রিপোর্ট, রিভিউ রিপোর্ট প্রভৃতি জমা করছে। এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ঋণ শৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।’
এখন থেকে ঋণ নবায়ন ও মঞ্জুরের বেলায় আর্থিক প্রতিবেদনটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টের মাধ্যমে হতে হবে। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেও সংরক্ষণ করতে হবে। এ নিয়ম মেনেই সব ঋণ বিতরণ ও নবায়ন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কিছু প্রতিষ্ঠানের পর্ষদরা মিলে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে ঋণ আবেদন করছেন। এক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য আড়াল হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীকালে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির সময় প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
